অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা অর্ধেকে নেমে গেছে!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৭

বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্তি অর্ধেকে নেমে গেছে। দেশটির সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্টুডেন্ট এনরোলমেন্টের সংখ্যা বেধে দেয়ায় কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে চাইলেই দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, আগের মতো, বেশি সংখ্যায় স্টুডেন্ট ভর্তি নিতে পারছে না। মেলবোর্নের ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মাদ শেখ জানিয়েছেন, আগে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ৮ থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারতো, কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা নেমে গেছে চার থেকে পাঁচ হাজারে।
এই ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ আরো জানিয়েছেন, স্টুডেন্টদের খুব ভালো এ্যাকাডেমিক রেজাল্ট, আইএলটিএসের স্কোর না থাকলে, স্টুডেন্টদের ভিসা দিচ্ছে না দেশটি। স্পন্সরের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। কেবল স্টুডেন্টের নিজের এ্যাকাউন্ট বা তাঁর মা বাবা ছাড়া অন্য কোন উৎসের ফান্ড দেখালে, ভিসা মিলছে না। মোহাম্মদ শেখ জানিয়েছেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ পাঁচ বা ৪.৯, অন্যদিকে, আইএলটিএসের স্কোর সেভেন না হলে, ভিসা পাওয়া কঠিন হচ্ছে। ফলে, প্রচুর স্টুডেন্টদের ভিসা রিজেক্ট হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় তীব্র আবাসন সংকটের কারণে,পরিস্থিতি সামাল দিতে খড়্গ নেমেছে স্টুডেন্ট ভিসায় এমনটাই মত্, মোহাম্মদ শেখের।
ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ মোহম্মাদ শেখ আরো জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশীদের জন্য ভিজিটর ভিসাও উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিয়েছে। আর অল্পসংখ্যক যাদের ভিজিটর ভিসা দেয়া হচ্ছে তাদের বিষদ ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কারণে ব্যাক্তি বিশেষের বিষয়ে বেশি খোঁজখবর করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
ইনভেস্টর ভিসা পেতে বাংলাদেশ থেকে যারা বিজনেস মাইগ্রেশনের চেষ্টা করতেন তাদের জন্যও ভালো খবর নেই। ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শেখ জানালেন, বর্তমানে দেশটি এক প্রকার বন্ধই রেখেছে এমন ইনভেস্টর ভিসা।
মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট