
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৫, ০০:১৮

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ। এক মাস কঠোর সিয়াম সাধনার পর, শাওয়ালের নতুন চাঁদ নিয়ে আসে খুশির বার্তা। গেল এক মাস রোজাদাররা পানাহার থেকে বিরত থাকার যে ব্রত নিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তালার সন্তুষ্টির আশায়, শাওয়ালের চাঁদ যেন তাদের জন্য এক নেয়ামত।
ঈদের সকালে ঈমানদাররা আবারো এক কাতারে শরিক হবেন ঈদের নামাজে। মুসলিম বিশ্বে ঈদ আসে কল্যাণ আর শান্তির সওগাত নিয়ে। মানবতা আর মনুষ্যত্ব বিলিয়ে দেয়ার বাণী নিয়ে। ঈদের নামাজে খুতবায় ফিরে ফিরে আসে সেই মানবতার বাণী।
পৃথিবীর নানা প্রান্তের বসবাস করেন এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি। যাদের বেশির ভাগ সৌদি আরব, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যে। সেই কর্মীদের মেহনতের উপার্জনে, চলে তাদের পরিবার। সমৃদ্ধ হয় দেশের রিজার্ভও।
২০২৫ সালের মার্চ মাস দেশের রেমিট্যান্সের প্রবাহের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এ মাসে ৩ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা বিগত বছরের এই সময়ের চেয়ে ৮২.৪৬ শতাংশ বেশি। এই বৈদেশিক মুদ্রার ৭৮ শতাংশ এসেছে মার্চের শেষ ১৯ দিনে। প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত টাকা স্বজন, পরিজনদের কাছে পাঠিয়েছেন যাতে তারা আনন্দ নিয়ে ঈদ করতে পারেন। পরিবার, পরিজন, প্রিয়জন থেকে দূরে থেকে ঈদ করা, কতখানি আনন্দের আর কতখানি বেদনার সেই মিশ্র অনুভূতি কেবল প্রবাসীরাই বোঝেন।
প্রবাসীরা দূর থেকে দেশকে দেখেন, দেশের মানুষকে অনুভব করেন। দেশকে নিয়ে তাদের মনে থাকে গভীর ভালোবাসা। দেশের প্রতি টান অটুট থাকলেও যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা আর সামাজিক অবক্ষয় তাদের হতাশ করে।
তারা দেখতে চান দেশের স্থিতিশীলতা, উন্নতি, প্রবাসী বান্ধব যে কোনো কাজ। সাথে চান নিজেদের দুর্দশা আর দুর্ভোগমুক্ত জীবন। তাদের প্রার্থনা থাকে মুসলিম দুনিয়ার ঐক্য আর সমৃদ্ধি।