ইউরোপে মানবপাচার রোধে কী করবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৪০

চলতি বছর অনিয়মিত পথে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে ইউরোপে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন৷
ইউরোপে মানব পাচার আর অভিবাসীদের ঢল অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে বিভিন্ন সরকার প্রধানদের। চলতি বছর এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ব্রিটিশ উপকূলে পৌঁছেছে৷ অনিয়মিত পথে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন৷ যা ২০১৮ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ৷
এমন বাস্তবতায়, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ পাঁচটি ইউরোপীয় দেশ মঙ্গলবার যৌথভাবে মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মত হয়েছে৷ এছাড়া লন্ডন এবং বার্লিন মানবপাচার নেটওয়ার্ক মোকাবিলায় একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সই করেছে৷
মানবপাচার মোকাবিলায়, ১০ ডিসেম্বর, লন্ডনে অনুষ্ঠিত আন্তঃদেশীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রোতাইয়ো, জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার, নেদারল্যান্ডসের অভিবাসনমন্ত্রী মারিওলাইন ফেবার, বেলজিয়ামের অভিবাসনমন্ত্রী নিকোল দ্য মুর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেলিস ভারলিন্ডেন, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার এবং ব্রিটেনের সীমান্ত নিরাপত্তা কমান্ডার মার্টিন হেউইট৷
ব্রিটেনের সাবেক পুলিশ প্রধান হেউইটকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সীমান্ত নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার৷
লেবার পার্টি ব্রিটেনের নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দলটি ক্ষমতায় আসলে মানবপাচার চক্রগুলোকে ভেঙ্গে দেওয়া হবে৷ এই প্রতিশ্রুতি পূরণে মার্টিন হেউইটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ইউরোপীয় দেশগুলোতে অনিয়মিত অভিবাসন একটি ক্রমবর্ধমান ইস্যু৷ চলতি বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনেও এটি ছিল প্রধান ইস্যু৷
জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাথে সোমবার স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অধীনে ইংলিশ চ্যানেলজুড়ে মানবপাচারের উদ্দেশে জার্মানিতে পরিচালিত কার্যকলাপকে ঘিরে নজরদারি করা হবে।
খবরসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস্ বাংলা