অবৈধ পথে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেবেনা যুক্তরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫০

যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্বের আবেদনগুলো পরীক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরে নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ৷ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশটিতে অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে৷
লেবার
পার্টি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়বেন দেশটিতে অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীরা৷
বিশেষ করে, ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে আসা অভিবাসীরা এ সিদ্ধান্তের কারণে ঝুঁকিতে পড়বেন৷
অনিয়মিত
পথে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব আবেদন ‘নীতিগতভাবে’ প্রত্যাখানের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে
অভিবাসন সংস্থা এবং এনজিওগুলো৷ ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মধ্যেও এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
দেখা দিয়েছে৷
১০
জানুয়ারি ব্রিটেনের জাতীয়তা আবেদনের জন্য নির্ধারিত কার্যালয়ে প্রেরিত চিঠিতে বলা
হয়, অনিয়মিত পথে আসা ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে যত বছর থাকেন না কেন তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব
আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে৷ বিশেষ করে চ্যানেল পেরিয়ে আসা ব্যক্তিদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত
হবেই৷
তবে,
নাগরিকত্বের আবেদনগুলো শুরুতেই প্রত্যাখ্যান না করে প্রতিটি ধাপ অনুসরণ এবং সঠিকভাবে
যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
বুধবার
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ‘‘অনিয়মিত
পথে আগতদের জাতীয়তা লাভের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে৷’’
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘এই নির্দেশিকাটি কিছু ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে৷ যাতে অনিয়মিতভাবে বা
ছোটো নৌকায় চড়ে যুক্তরাজ্যে আসা ব্যক্তিরা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আবেদন প্রত্যাখ্যানের
ঝুঁকির ব্যাপারে জানতে পারেন৷’
এ
উদ্যোগের মাধ্যমে কিয়ার স্টারমারের সরকার আংশিকভাবে তার পূর্বসূরি রক্ষণশীল ঋষি সুনাক
সরকারের একটি প্রকল্প গ্রহণ করছে৷ সুনাক অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকে অগ্রাধিকার
দিয়েছিলেন৷
তবে
স্টারমারের নতুন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে৷ লেবার এমপি স্টেলা ক্রিসি মাইক্রো
ব্লগিং সাইট এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘আমরা যদি কাউকে শরণার্থী মর্যাদা দিই, তাহলে তাকে
ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়৷’
ব্রিটেনের
অভিবাসন ও আশ্রয় নীতি নিয়ে কাজ করা এনজিও ফ্রি মুভমেন্ট বলছে, ‘‘এই পরিবর্তনগুলো বড় সংখ্যক শরণার্থীকে নাগরিকত্ব থেকে বিরত রাখবে এবং
এটি ইন্টিগ্রেশন বা একীকরণের জন্য ক্ষতিকর৷’’
গত
গ্রীষ্মে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিয়ার স্টারমার অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ
করে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই সংক্রান্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন৷
তথ্যসূত্র:
ইনফো মাইগ্র্যান্টস – ১৪.০২.২০২৫