
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবৈধ অভিবাসনের জন্য ব্যবহৃত কিছু বিপজ্জনক ও গোপন রুট রয়েছে, যা অভিবাসীরা জীবনবাজি রেখে ব্যবহার করে। এসব রুটের মধ্যে রয়েছে:
১. ভূমধ্যসাগর রুট (Mediterranean Route)
উত্তর আফ্রিকা → ইউরোপ:
লিবিয়া, তিউনিসিয়া, মরক্কো থেকে ইতালি, স্পেন বা গ্রিস।
মানব পাচারকারীরা নৌকায় করে অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর পার করিয়ে দেয়।
ঝুঁকি: নৌকাডুবি, দস্যুতা, দুঃসহ আবহাওয়া, ইউরোপীয় নৌবাহিনীর বাধা।
২. মধ্য আমেরিকা রুট (Central America Route)
দক্ষিণ আমেরিকা → মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র:
হন্ডুরাস, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা থেকে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্র।
বিপদজনক অঞ্চল: ডেরিয়েন গ্যাপ (Darien Gap) - কলম্বিয়া ও পানামার সীমান্তে ভয়াবহ জঙ্গল।
ঝুঁকি: অপরাধী চক্র, ডাকাতি, যৌন সহিংসতা, দুর্বল আবহাওয়া।
৩. সাহারা মরুভূমি রুট (Sahara Desert Route)
পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা → উত্তর আফ্রিকা → ইউরোপ:
নাইজার, মালি, সুদান থেকে লিবিয়া বা আলজেরিয়া হয়ে ইউরোপে যাত্রা।
ঝুঁকি: মরুভূমির প্রচণ্ড গরম, পানির সংকট, মানব পাচারকারীদের শোষণ।
৪. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রুট (Southeast Asia Route)
বাংলাদেশ, মিয়ানমার → মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া:
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সাধারণত এই রুট ব্যবহার করে।
নৌকায় দীর্ঘ ও কষ্টকর সমুদ্রযাত্রা।
ঝুঁকি: পাচার, শোষণ, দুর্ঘটনা।
৫. মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত রুট (US-Mexico Border Route)
মেক্সিকো → যুক্তরাষ্ট্র:
মরুভূমি, নদী, পাহাড়, কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা।
ঝুঁকি: সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাধা, পানির অভাব, গ্যাং হামলা।
এছাড়া, রাশিয়া-বেলারুশ-ইউরোপ রুট, বলকান রুট এবং চীন-হংকং-ম্যাকাও রুটও ব্যবহৃত হয়। তবে সব রুটেই চরম ঝুঁকি থাকে, যা জীবনহানির কারণ হতে পারে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট