নানা বর্ণে, নানা রঙে সারাবিশ্বে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২১

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবাসী বাঙালিরা নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করেছেন। নতুন বছরের প্রথম দিনটি বরণ করে নিতে তারা মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন করেছেন।
নিউজিল্যান্ড
অকল্যান্ডে প্রবাসী বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করেছে 'বঙ্গ মেলা', যেখানে প্রায় ৪০০ প্রবাসী বাঙালি অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারটি সাজানো হয় বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম ও খাবারের স্টল দিয়ে। এখানে পরিবেশন করা হয় ফিশ চপ, কচুরি, ফুচকা, ঝালমুড়ি, মিষ্টি, পোলাওসহ নানা মুখরোচক খাবার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল রবীন্দ্রসংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা।
অস্ট্রেলিয়া
সিডনি ও মেলবোর্নে প্রবাসী বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলার মাধ্যমে। এছাড়া বাংলাদেশের কনস্যুলেট ও স্থানীয় সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও শিশুদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা।
কানাডা
অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন। উল্লেখযোগ্যভাবে এই উৎসবে অংশ নেন কানাডার সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্যাও।
এছাড়া অন্টারিওর সেন্ট আগাথা কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি আয়োজন করে বৈশাখী উৎসব ও মেলা, যেখানে প্রবাসী বাঙালিরা পরিবারসহ অংশগ্রহণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র
নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেন। আয়োজনে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী খাবারের স্টল। বিশেষ করে ওয়াশিংটনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন হাজারো প্রবাসী বাঙালি।
যুক্তরাজ্য
লন্ডনের ব্রিক লেনে অনুষ্ঠিত হয় ইউরোপের বৃহত্তম বৈশাখী মেলা। টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন এই উৎসবে, যেখানে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, ঢাকের বাদ্যি, নৃত্য ও গান। এ বছর প্রথমবারের মতো এই মেলা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়, যাতে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে মানুষ উপভোগ করতে পারেন।
পর্তুগাল
লিসবনে বাংলাদেশের দূতাবাস আয়োজন করে পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠান। চ্যান্সারি ভবনটি সাজানো হয় আলপনা, ফুল ও বেলুন দিয়ে। অনুষ্ঠানে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন। প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি স্থানীয় অতিথিরাও অংশগ্রহণ করেন।
স্পেন
মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় প্রবাসী বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলার মাধ্যমে। আয়োজনে ছিল গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল।
ফ্রান্স
প্যারিসে প্রবাসী বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলার মাধ্যমে। আয়োজনে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, গান, নৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবাসী বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জীবিত রেখেছেন। এই আয়োজনগুলো প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয় এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন নিউজ