
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘গোল্ডেন ভিসা’ এখন অনেক প্রবাসীর স্বপ্ন। দীর্ঘ ১০ বছরের রেসিডেন্সি সুবিধা, বিনিয়োগ ও পরিবারের সদস্যদের স্পন্সর করার সুযোগসহ একাধিক সুবিধা থাকলেও অনেক আবেদনই বাতিল হয়ে যাচ্ছে ছোটখাটো কারণেই। ২০১৯ সালে চালু হওয়া এই ভিসা মূলত বিনিয়োগকারী, পেশাজীবী, উদ্যোক্তা, গবেষক ও কৃতী শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিসার নিয়মকানুন আরো কঠোর ও নিখুঁত হয়েছে।
যে সব কারণে গোল্ডেন ভিসা বাতিল হতে পারে?
নিচে উল্লেখ করা হলো সবচেয়ে সাধারণ ১৩টি কারণ, যার কারণে আবেদন বাতিল হচ্ছে:
১. অযোগ্য বা ভুল চাকরির পদবি: অনেক সময় সিনিয়র পদে কাজ করলেও ভিসায় সঠিক পদবি না থাকায় আবেদন বাতিল হয়।
২. সঠিকভাবে অ্যাটেস্টেড শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই: শিক্ষাগত সনদ যদি সঠিকভাবে লিগ্যালাইজড ও সমতুল্য না হয়, তাহলে আবেদন গ্রহণ হয় না।
৩. সিনিয়র বা বিশেষায়িত পেশা না থাকা: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ম্যানেজার জাতীয় পদ না হলে ঝুঁকি বাড়ে।
৪. বেতন ঠিকমতো ব্যাংকে প্রতিফলিত না হওয়া: ব্যাংক স্টেটমেন্টে WPS-এর মাধ্যমে বেতন না গেলে বা "salary" হিসেবে উল্লেখ না থাকলে বাতিল হতে পারে।
৫. দলিলপত্রে অসঙ্গতি: বেতন সার্টিফিকেট ও ব্যাংক স্টেটমেন্টে তথ্যের গরমিল আবেদন বাতিলের অন্যতম কারণ।
৬. ভিসা বা ইমিগ্রেশন সমস্যার ইতিহাস: ওভারস্টে, ফাইন বাকি থাকা বা পূর্বে কোনো লঙ্ঘনের রেকর্ড থাকলে ভিসা মঞ্জুর হয় না।
৭. আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ না থাকা: নিজেকে ও পরিবারের খরচ চালানোর উপযুক্ত আয় বা সম্পদের প্রমাণ না দিলে আবেদন বাতিল।
৮. নিরাপত্তাজনিত কারণ বা ফৌজদারি মামলা: কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকলে সরাসরি বাতিল।
৯. মনোনয়নপত্র না থাকা: সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষের সুপারিশ ছাড়া অনেক আবেদন অগ্রাহ্য হয়।
১০. স্বাস্থ্য বীমার অভাব: আবেদনকারীর ও পরিবারের স্বাস্থ্য বীমা না থাকলে আবেদন অসম্পূর্ণ ধরা হয়।
১১. ‘এক্সসেপশনাল ট্যালেন্ট’ প্রমাণে ব্যর্থতা: সৃজনশীল পেশায় আবেদন করলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বা কৃতিত্ব দেখাতে না পারলে বাতিল।
১২. বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য বা প্রমাণের ঘাটতি: বিনিয়োগকারী হলে ২০ লাখ দিরহাম মূল্যের বিনিয়োগ ও বার্ষিক ২.৫ লাখ দিরহাম কর প্রদানের প্রমাণ লাগবে।
১৩. কোম্পানিতে অভিজ্ঞতা কম: বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারীর একই কোম্পানিতে কমপক্ষে ২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক।
তাই আবেদন করার আগে অবশ্যই প্রোফাইল, ডকুমেন্ট ও কোম্পানির স্ট্যাটাস যাচাই করুন। যে কোনো অসঙ্গতি আবেদন বাতিলের কারণ হতে পারে। প্রয়োজনে যোগ্য কোনো কনসালটেন্সি বা ভিসা সার্ভিস ফার্মের সহায়তা নিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: খালিজ টাইমস