৯ লাখেরও বেশি অভিবাসীর সুরক্ষায় বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬

বিদায়ের আগে ৯ লাখেরও বেশি অভিবাসীর সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এর ফলে ভেনেজুয়েলা, এল সালভাদর, ইউক্রেন ও সুদানের এই অভিবাসীরা আরও ১৮ মাস যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ও কাজের নিশ্চয়তা পেলেন। আর মাত্র কয়েকদিন পরই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক। এমন সময়ে এই সিদ্ধান্তকে ‘কৌশলগত উদ্যোগ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। কিন্তু টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড স্ট্যাটাস (টিপিএস) নামে পদক্ষেপের ফলে দেড় বছরের জন্য তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত হলো।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসনের এই
সিদ্ধান্ত অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতিমালা বাস্তবায়নে একটি বড় বাধা
হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে টিপিএস বা অস্থায়ী সুরক্ষিত অবস্থা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে
বিতর্ক চলমান রয়েছে।
রিপাবলিকানরা মনে করেন, এই প্রোগ্রামের
আওতায় উদারভাবে অনেক বিদেশিকে অভিবাসী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা অবৈধ অভিবাসীদের
জন্য একটি প্রলোভন হিসেবেও কাজ করছে। তবে বাইডেনের অধীনে এই প্রোগ্রামটির ব্যাপক সম্প্রসারণ
হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৭টি দেশের প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড
স্ট্যাটাসের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
টিপিএস সম্প্রসারণে উপকৃত দেশগুলো হলো—
ভেনেজুয়েলা—ভেনেজুয়েলার
ছয় লাখেরও বেশি অভিবাসী এই প্রোগ্রামের ফলে উপকৃত হবেন। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট
নিকোলাস মাদুরোর শাসনামলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনায় এই ‘জরুরি মানবিক’ সুযোগ দেওয়া
হচ্ছে।
এল সালভাদর—২০০১ সালে ভূমিকম্পের
পর এল সালভাদরের ২ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ আমেরিকায় অভিবাসী হয়ে আসেন। এরা সবাই
টিপিএস সম্প্রসারণের আওতায় থাকবেন।
১৯৯০ সালের ইমিগ্রেশন আইনের অংশ হিসেবে
টিপিএস প্রোগ্রাম চালু করেন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। এর উদ্দেশ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে
অবস্থানরত বিদেশিদের নিজ দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সশস্ত্র
সংঘাতের সময় নির্বাসন থেকে সুরক্ষা দেওয়া।
তথ্যসূত্র: দৈনিক আজকের কাগজ – ১১.০১.২০২৫