জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ; ক্ষতিগ্রস্থ হবেন যারা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫২

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই অভিবাসীদের নিয়ে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বাতিল থেকে শুরু করে সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি পর্যন্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রথম দিনেই ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এমনিতেই অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন
সংগঠন থেকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ট্রাম্পের এসব সিদ্ধান্ত। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে তাঁর
সিদ্ধান্তের পর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এসব সংগঠনগুলো। একটি সংগঠন বলেছে,
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আমেরিকার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখবে না। আরেকটি সংগঠন বলেছে, ট্রাম্প
প্রশাসন অভিবাসীদের জীবন ধ্বংসের জন্য সক্রিয় তৎপরতা শুরু করেছে।
জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের
নির্বাহী আদেশের বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি। তবে তাঁর প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন,
ট্রাম্প জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব সুবিধা বিলোপ করতে চান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী দেশটিতে
কোনো শিশুর জন্ম হলে জন্মসূত্রে সে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে। এ ক্ষেত্রে ওই শিশুর বাবা-মা
কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তা বিবেচ্য বিষয় হবে না। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে
এই নিয়মে পরিবর্তন আনতে চান ট্রাম্প, যাতে নথিবিহীন; অর্থাৎ অবৈধ কোনো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে
সন্তান প্রসব করলে সেই শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।
জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব সুবিধা নিয়ে
নতুন নিয়ম ট্রাম্প কীভাবে কার্যকর করতে চান, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের
এ সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সংরক্ষিত একটি বিষয়। ট্রাম্প যদি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের
এই সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে চান, তাহলে তাঁকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ
ও উচ্চকক্ষ সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের এতে সমর্থন প্রয়োজন হবে।
ট্রাম্প এ নির্বাহী আদেশে সই করার
পরপরই আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এএলসিইউ) নামের একটি সংগঠন জানিয়েছে, ট্রাম্প
প্রশাসনের এমন আদেশের বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন। সংগঠনটি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে,
‘যুক্তরাষ্ট্রে
জন্ম নেওয়া শিশুকে নাগরিকত্ব না দেওয়ার আদেশ শুধু অসাংবিধানিক নয়, একই সঙ্গে তা আমেরিকার
মূল্যবোধের বেপরোয়া ও নির্মম প্রত্যাখ্যান।’
তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো – ২১.০১.২০২৫