আমেরিকায় ১৯ ফেব্রুয়ারীর আগে সন্তান প্রসবে হুড়োহুড়ি!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০২

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, কোন দম্পতি যদি আমেরিকায় শিশু জন্ম দেন তাহলে সেই শিশু জন্মগতভাবে অটো আমেরিকার নাগরিক হয়ে যায়। এই আইনের সুবিধা নিতে পৃথিবীর বহু দেশের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সন্তান জন্ম দেন। পরে আবার ফিরে আসেন নিজ দেশে। সন্তানদের ভবিষৎ জীবনের কথা চিন্তা করে এমন রীতি দেখা যায় বিভিন্ন দেশের উচ্চবিত্তের মানুষের মধ্যে।
আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট এই আইন বদলাতে চান। ট্রাম্প চান, মা বা বাবা কোন একজন যদি মার্কিন নাগরিক হন তবেই আমেরিকায় জন্ম নেয়া শিশুটি দেশটির নাগরিকত্ব পাবে।
দ্বিতীয় দফা আমেরিকায় সরকারে বসে, ট্রাম্প যেসব আইনের পরিবর্তন আনতে চান তার একটি, দেশটির অন্যতম বিতর্কিত বিষয়, বার্থরাইট সিটিজেনশিপ বা জন্মগত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করা।
কিন্তু ট্রাম্পের নতুন এই আদেশ নিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত প্রথমেই ধাক্কার মুখে পড়লো। যুক্তরাষ্ট্রের আদালত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত থামিয়ে দিয়ে বলেছে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত একদম অসাংবিধানিক।
আমেরিকার অনেকগুলো স্টেটের আদালতে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিয়াটলের আদালত বলেছে, ট্রাম্পের নির্দেশে দেশটির সংবিধানের আদর্শ লংঘিত হয়েছে।
তবে, আইনী বিষয় যাই ঘটুক না কেন, ট্রাম্পের ওই নির্দেশের পরে আমেরিকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের ডেডলাইট ছিলো, ১৯ ফেব্রুয়ারীর আগে জন্ম নেয়া শিশুরা নতুন বিধিবিধানে পড়বে না। তাই ভারতসহ অনেকে দেশের অনথিভুক্ত অভিবাসী মায়েদের মধ্যে ডেডলাইনের আগেই সন্তান প্রসবের জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দিয়েছেন। কেননা ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হলে, ১৯ ফেব্রুয়ারীর পরে জন্মনেয়া অনথিভুক্ত সন্তানেরা অটো মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। সেই সাথে পাওয়া যাবে না, সামাজিক সুরক্ষা নম্বর, সরকারি সুবিধা বা আইনগতভাবে কাজ করার অধিকারও।
ভোটে ক্ষমতা হারানো ডেমোক্রেট রাজ্যগুলোর কর্মকর্তাদের মতে, ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হলে, প্রতি বছর দেড় লাখ সদ্যোজাত শিশুরা নাগরিকত্ব হারাবে।
আমেরিকায় বাস করেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১কোটি ৪০ লক্ষ অনথিভুক্ত মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশলক্ষাধিক মেক্সিকান। সাত লক্ষাধিক ভারতীয় এবং এক লক্ষাধিক বাংলাদেশীও।
তথ্যসূত্র: আজতাক বাংলা, ২৪/১/২৫