যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন শুরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪

এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীর বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার অংশ হিসেবে অবৈধ ভারতীয়দের ফেরাতে একটি সামরিক উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছে।
এনডিটিভি
লিখেছে, অভিবাসী প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ফ্লাইটের সবচেয়ে দূরতম গন্তব্য
হচ্ছে ভারত। টেক্সাসের এল পাসো এবং ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়োগো থেকে পাঁচ সহস্রাধিক
অবৈধ অভিবাসীকে প্রত্যাবাসনে ফ্লাইট ঘোষণা করেছে ভারত। এ পর্যন্ত গুয়েতামালা, পেরু
ও হন্ডুরাসে গেছে অভিবাসীবাহী সামরিক ফ্লাইট।
অভিবাসন
প্রশ্নে জরুরি ঘোষণার অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে সামরিক ফ্লাইট চালু করেন ট্রাম্প। এ পর্যন্ত
অভিবাসীবাহী ছয়টি ফ্লাইট গেছে লাতিন আমেরিকায়। দুটি মার্কিন সি-১৭ কার্গো বিমান অবতরণ
করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অভিবাসীদের ফেরাতে কলম্বিয়া নিজস্ব উড়োজাহাজ পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ
করে। এ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের পর চারটি ফ্লাইট গুয়াতেমালায় অবতরণ করে।
ট্রাম্প
গত মাসে সাংবাদিকদের বলেন, “ইতিহাসে প্রথমবারের মত আমরা অবৈধ অভিবাসীদের ধরে
সামরিক উড়োজাহাজে তুলছি এবং তারা যেখান থেকে এসেছিল, সেখানেই পাঠানো হচ্ছে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মোদী শেষ পর্যন্ত ‘যা সঠিক তাই করবেন’।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ১৮ হাজার ভারতীয় অভিবাসীকে শনাক্ত করেছে, যারা অবৈভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষ কর্মীর এইচওয়ানবি ভিসাধারীদের বেশিরভাগই ভারতীয়।
তবে
প্রত্যাবাসনে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করায় যে আকাশচুম্বী ব্যয় হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে
রয়টার্সের খবরে। গত সপ্তাহে গুয়েতেমালায় যাওয়া প্রত্যাবাসন ফ্লাইটে প্রত্যেকের পেছনে
অন্তত ৪,৬৭৫ ডলার খরচ হয়। অথচ টেক্সাসের এল পাসো থেকে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের প্রথম
শ্রেণির টিকেটে গেলে খরচ হত ৮৫৩ ডলার। মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের
বাণিজ্যিক চার্টার ফ্লাইটের চেয়েও সামরিক ফ্লাইটের খরচ অনেক বেশি।
অভিবাসনের
পাশাপাশি ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক খড়্গের ঘোষণা দিয়েছেন। একই ধরনের
ব্যবস্থা ইউরোপের জন্যও ভাবছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সীমান্ত
দিয়ে মাদক ও অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের ঘটনায় মেক্সিকো ও কানাডা থেকে পণ্য আমদানির ওপর
বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক মঙ্গলবার কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে চীনের ওপর যে ১০ শতাংশ বাড়তি
শুল্ক আরোপের কথা বলা হচ্ছে, সেটি থামাতে কোনো আলোচনা হয়নি।
তথ্যসূত্র:
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর – ০৪.০২.২০২৫