Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

নতুন প্রধানমন্ত্রীর আমলে কেমন হবে কানাডার অভিবাসন নীতি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৪

নতুন প্রধানমন্ত্রীর আমলে কেমন হবে কানাডার অভিবাসন নীতি

নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে কানাডা। দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের প্রধানই কানাডায় সরকারপ্রধান হয়ে থাকেন। সেই হিসাবে, মার্ক কার্নি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

মার্ক কার্নি অর্থনীতিবিদ, কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন।

কানাডা দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের জন্য একটি অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বে কানাডার অভিবাসন নীতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে, যা দেশের অর্থনীতি, সামাজিক কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।

নতুন সরকারের অধীনে অভিবাসন নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে:

-       শ্রম বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সাময়িক অভিবাসন বা টেম্পোরারি মাইগ্রেশনের হার নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।

-       দক্ষ কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন সহজতর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

-       নতুন অভিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নীতি পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে।

-       বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে শরণার্থীদের গ্রহণের মাত্রা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।

নতুন অভিবাসন নীতির কারণে কানাডার অর্থনীতিতে কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

দক্ষ কর্মীদের অভিবাসন সহজতর হলে দেশীয় শ্রমবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে, অস্থায়ী অভিবাসনের উপর নিয়ন্ত্রণের ফলে নির্দিষ্ট কিছু খাতে শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে।

বর্তমান সরকার অভিবাসনের হার ও আবাসন সংকটের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার পরিকল্পনা করছে। অভিবাসনের প্রবাহ সীমিত হলে আবাসন সংকট কিছুটা লাঘব হতে পারে, তবে এটি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে দেবে।

অভিবাসনের সীমাবদ্ধতা দেশীয় নাগরিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি বহুজাতিক সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কানাডার নতুন অভিবাসন নীতির ফলে আন্তর্জাতিক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অভিবাসন সীমিত হলে এটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে কানাডার প্রতিযোগিতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

উন্নয়নশীল দেশের ওপর প্রভাব: কানাডা যেহেতু দক্ষ কর্মী আমদানি করে, তাই নতুন নীতি উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে দক্ষ জনবল সংগ্রহের প্রবাহে প্রভাব ফেলতে পারে।

নতুন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কানাডার অভিবাসন নীতির পরিবর্তন জাতীয় অর্থনীতি ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। দক্ষ অভিবাসীদের জন্য সুযোগ বাড়ানো হলেও সাময়িক অভিবাসনের সীমাবদ্ধতা কিছু ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। এই নীতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নির্ভর করবে সরকারের বাস্তবায়ন কৌশল এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ওপর।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

Logo