Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

ইহুদিবিরোধী পোস্ট দিলে বাতিল হবে মার্কিন ভিসা-পিআর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৫৯

ইহুদিবিরোধী পোস্ট দিলে বাতিল হবে মার্কিন ভিসা-পিআর

মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের দৃষ্টিতে যেসব পোস্ট ইহুদিবিরোধী বা এন্টি সিমেটিক হিসেবে বিবেচিত হবে, তা প্রকাশ করলে ভিসা বা বসবাসের অনুমতি বা পিআর (রেসিডেন্স পারমিট) বাতিল করা হবে।

ইহুদিবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত পোস্টের মধ্যে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষিত হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও  ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়বস্তু।

এই পদক্ষেপ এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন একই রকম অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থাকা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করেছে, যদিও মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বা First Amendment-এ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোম স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কেউ যদি মনে করেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে এসে প্রথম সংশোধনীর পেছনে লুকিয়ে ইহুদিবিরোধী সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ প্রচার করতে পারবেন, তাহলে তারা ভুল ভাবছেন। আপনাদের এ দেশে স্বাগত জানানো হবে না, বলেন বিভাগটির মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন।

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা বা USCIS জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন বিষয়বস্তু প্রকাশ, যা ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসবাদ, ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন বা অন্যান্য ইহুদিবিরোধী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন, প্রচার বা উস্কানি দেয়; তা অভিবাসন সুবিধা নির্ধারণে নেতিবাচকভাবে বিবেচিত হবে।

এই নীতি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং শিক্ষার্থীদের ভিসা ও স্থায়ী বসবাসের কার্ড আব গ্রিন কার্ড আবেদনের ওপর প্রযোজ্য হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত মাসের শেষ দিকে বলেন, তিনি ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ জনের ভিসা বাতিল করেছেন এবং প্রতিদিন এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

রুবিও বলেন, মার্কিন নাগরিক নন এমন ব্যক্তিদের মার্কিন নাগরিকদের মতো অধিকার নেই এবং ভিসা প্রদান বা বাতিলের সিদ্ধান্ত বিচারকদের নয়, বরং তার নিজস্ব বিবেচনার বিষয়।

কিন্তু অনেক ব্যক্তি যাদের ভিসা বাতিল হয়েছে, তারা দাবি করেছেন, তারা কখনো ইহুদি-বিদ্বেষমূলক মত প্রকাশ করেননি। কিছু লোক বলেছেন, তারা কেবল প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন বলেই টার্গেট করা হয়েছে।

সবচেয়ে আলোচিত বিতাড়নের (ডিপোর্টেশন) ঘটনা হলো মাহমুদ খালিলের, যিনি নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাকে লুইজিয়ানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিতাড়ন প্রক্রিয়ার জন্য, যদিও তিনি একজন মার্কিন স্থায়ী বাসিন্দা।

ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি ডলারের ফেডারেল ফান্ডিং বাতিল করেছে। কারণ কর্মকর্তাদের মতে, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে ইহুদিবিরোধিতা মোকাবিলায় সেসব প্রতিষ্ঠান যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

 সূত্র: গালফ নিউজ।

Logo