জরিমানা না দিলে অবৈধদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৫

এককথায় বলা যায় নজিরবিহীন। অভিবাসীদের তাড়াতে একের পর এক সাঁড়াশি পদক্ষেপ নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এবার আমেরিকা ত্যাগের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা ১৪ লাখ অভিবাসীর টুঁটি চেপে ধরার পরিকল্পনা করছে। কয়েকটি ইমেইল পর্যালোচনা করে রয়টার্স দেখেছে, কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থাকে অবৈধ অভিবাসীদের জরিমানা করা, জরিমানা অনাদায়ে সম্পত্তি জব্দ করা এবং তা বিক্রি করার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে হোয়াইট হাউস।
তাদের মূল চাওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন অবৈধ অভিবাসীরা আমেরিকা ছেড়ে চলে যান। তারা তা না করলে জরিমানা করবে ট্রাম্পের সরকার। আর জরিমানা না দিলে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
ট্রাম্পের সরকার এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে, যেসব অবৈধ অভিবাসী বাড়তি সময় আমেরিকায় অবস্থান করবে তাদের দিন প্রতি ৯৯৮ ডলার জরিমানা হবে। ১৯৯৬ সালের একটি আইনের আওতায় এই জরিমানা চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে ওই আইন প্রথম কার্যকর হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন অতীতের সেই তারিখ থেকেই ৫ বছরের জন্য নতুন করে জরিমানা চালুর পরিকল্পনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন রয়টার্সকে বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের সিবিপি হোম যা কিনা ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন অ্যাপ, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের ইচ্ছাতেই চলে যাওয়া উচিত এবং এখনই আমেরিকা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। এই অ্যাপ ব্যবহার করে ‘‘স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন এবং এখনই দেশ ছাড়ার’’ সুযোগ নিতে পারেন অভিবাসীরা। তা না হলে তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। আর নিজের ইচ্ছায় দেশ ছেড়ে না গেলে প্রতিদিনের জন্য ৯৯৮ ডলার জরিমানা গুনতে হবে। গত ৩১ মার্চেই ডিএইচএস একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই জরিমানার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ১৯৯৬ সালের আইনে চার্চে আশ্রয় প্রার্থনা করা ৯ জনের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ ডলার জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল। তবে পরে তা কমিয়ে জনপ্রতি ৬০ হাজার ডলার করা হয়। অন্তত চারজনকে এই জরিমানা করা হয়েছিল। পরে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর জরিমানা করার এই নিয়ম বন্ধ করে দেন।
কাবেরী মৈত্রেয়, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র