Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাবেরী মৈত্রেয়

বন্ধ হচ্ছে একাধিক দূতাবাস ও কনস্যুলেট

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০১

বন্ধ হচ্ছে একাধিক দূতাবাস ও কনস্যুলেট

পররাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট অর্ধেক কমানোর পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ২০২৬ অর্থবছরের জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনতে চান।

১৫ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৬ অর্থবছরের জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনতে চায়। এই প্রস্তাবিত বাজেট ছেঁটে ফেলার ফলে আফ্রিকা ও ইউরোপের অন্তত ৩০টি মার্কিন কূটনৈতিক মিশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

হোয়াইট হাউসের বাজেট দপ্তর (ওএমবি) থেকে পাঠানো এক অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট ধরা হয়েছে ২৮.৪ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ২০২৫ সালে ছিল ৫৪.৪ বিলিয়ন ডলার।

বন্ধ হতে পারে দূতাবাস ও কনস্যুলেট: একটি আলাদা নথিতে বলা হয়েছে, যেসব মিশন বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে ১০টি দূতাবাস ও ১৭টি কনস্যুলেট রয়েছে। দূতাবাসগুলো অবস্থিত ইরিত্রিয়া, গ্রানাডা, লেসোথো, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, লুক্সেমবার্গ, কঙ্গো, গাম্বিয়া, দক্ষিণ সুদান, মাল্টা ও মালদ্বীপে।

এছাড়া বেশকিছু কনস্যুলেট বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। এসব কনস্যুলেটের অধিকাংশ ইউরোপে অবস্থিত। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান, দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান, ইন্দোনেশিয়ার মেডান এবং ক্যামেরুনের ডুয়ালাতেও মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইউএসএআইডির মাধ্যমে বিদেশে সহায়তা প্রদানও ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সহায়তা ৩৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ১৬ দশমিক ৯ বিলিয়নে নামিয়ে আনা হবে।

এছাড়া ইউএসএআইডি পুরোপুরি বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং এর কিছু কার্যক্রম পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করা হবে। ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রায় পাঁচ হাজার প্রকল্প বন্ধ করা হয়েছে এবং হাজার হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি, যেমন বিখ্যাত ফুলব্রাইট প্রোগ্রামও বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নথিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক দুর্যোগ সহায়তা ও শরণার্থী কর্মসূচি বাতিল করে নতুন দুটি প্রোগ্রাম চালু করা হবে। এগুলো হলো ২.৫ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ও ১.৫ বিলিয়ন ডলারের রাষ্ট্রপতির জরুরি শরণার্থী ও অভিবাসন কর্মসূচি। এগুলো দেশের ভেতরে ও বাইরে নতুন সংকটের সময় কাজে লাগানো হবে।


Logo